ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

নির্বাচনের জেরে সংঘর্ষ

চকরিয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌর নির্বাচনের জের ধরে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ উভয়পক্ষের ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসাইনকে (২৪) প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ জনতা মার্কেট সড়কে হামলায় আহত ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোছাইনকে (২৪) প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

এ ঘটনার জেরে রাত সাড়ে ১১ টায় দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবু এলাকায়  দু পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত ছাত্রলীগ নেতা সম্প্রতি সমাপ্ত পৌরসভার নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় কাজ করেছিলেন। আহত সাজ্জাদের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার জন্য সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সমর্থকদের দায়ী করেছেন।

রেজাউল করিম বলেন, আহত সাজ্জাদ নির্বাচনের পর থেকে আমার সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার রাতেও হুমকি দিলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ছররা গুলিবিদ্ধসহ আমার পক্ষের ১০ জন আহত হয়। হামলায় কাউন্সিলর সাইফুল নেতৃত্ব দেয় বলে তিনি দাবী করেছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাজ্জাদ পৌরসভা নির্বাচনের সময় আমার পক্ষে প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন। এ জন্য রেজাউল করিম পরিকল্পিতভাবে সাজ্জাদসহ আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে।’

হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘হামলায় দুইপক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শামসুল আলম বাদী হয়ে রেজাউল করিমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ১২-১৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি এজাহার থানায় জমা দিয়েছেন। এজাহারটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 

 

 

 

 

 

পাঠকের মতামত: